জরুরী বিজ্ঞপ্তি :

ইরি হচ্ছে রাজনীতি বিরোধী , অরাজনৈতিক , অলাভ-জনক , শিক্ষা , দাওয়াহ ও পূর্ণত মানবকল্যাণে নিবেদিত একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান । গরিব-দুস্থদের সহায়তাই এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য । এছাড়াও ইরি বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে । গত কয়েক বছরে ইরির বিভিন্ন সহপ্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে । আমরা আবারো সেই , বন্ধ হয়ে যাওয়া সহপ্রকল্প গুলো চালুর সিন্ধান্ত নিয়েছি । যেহেতু আমরা বিনামূল্যে আমাদের সেবা সমূহ প্রদান করে থাকি এবং আমরা কোন প্রকার বিজ্ঞাপন প্রচার করিনা । সেহেতু দান গ্রহনই আমাদের আয়ের একমাত্র উৎস । তাই , ইরি এর সকল সেবা সমূহ সচল রাখতে এখনি দান করুন । ধন্যবাদ ।

Donation.svg MAKE YOUR DONATION NOW

প্রসেসর হচ্ছে স্মার্টফোন কিংবা অন্যান্য কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে থাকা এক প্রকার গুরুত্বপূর্ণ (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ) HARDWARE যা ব্যবহারকারীর থেকে ইনপুট গ্রহণ করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আউটপুট প্রদান করে । আজকালকার কম্পিউটার ডিভাইস গুলো প্রসেসরের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয় । এজন্যই আজকালকার কম্পিউটার ডিভাইস গুলোকে প্রসেসর নির্ভর বলা হয়ে থাকে । মূলত প্রসেসরই কম্পিউটারের সমস্ত কার্য সম্পাদন করে থাকে ।

চিত্র : প্রসেসর


মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে যেমন মস্তিষ্কের গুরুত্ব সর্বাধিক । তেমনিভাবে , প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ HARDWARE . কম্পিউটার প্রসেসর মানুষের মস্তিষ্কেরই নামান্তর ।

অনেকেই প্রসেসরকে কম্পিউটারের প্রাণ বলে থাকে । এটি একেবারেই অযৌক্তিক । কেননা কম্পিউটারের HARDWARE গুলো মানুষের শরীরের অঙ্গ - প্রত্যঙ্গের সদৃশ ।

মানুষ যা করে তা মস্তিষ্কের আদেশেই করে কিংবা মস্তিষ্ক নিজেই সম্পাদন করে থাকে । কিন্তু কাজগুলো করে হাত - পা কিংবা অন্যান্য অঙ্গ - প্রত্যঙ্গের সাহায্যে । তেমনিভাবে প্রসেসর , ব্যবহারকারীর ইনপুটকে প্রক্রিয়াকরণ করে কম্পিউটারের বিভিন্ন HARDWARE এর সাহায্যে আউটপুট প্রদান করে । এখানে প্রসেসর মানুষের মস্তিষ্কের ভূমিকাই পালন করে । অতএব , মানুষের অঙ্গ - প্রত্যঙ্গকে যেমন মানুষের প্রাণ বলাটা অযৌক্তিক তেমনিভাবে প্রসেসরকে কম্পিউটারের প্রাণ বলাটাও অযৌক্তিক ।


চিত্র : ARTIFICIAL INTELLIGENCE


সাধারণত আজকালকার কম্পিউটার গুলোতে একের অধিক (একাধিক) প্রসেসর সংযুক্ত থাকে । প্রসেসরের অপর নাম CPU বা CENTRAL PROCESSING UNIT . তবে বর্তমান সময়ের কম্পিউটার মাদারবোর্ড গুলোতে GPU বা GRAPHICS PROCESSING UNT নামের আরেক ধরনের প্রসেসর সংযুক্ত থাকে । GPU হচ্ছে CPU এর একটি আধুনিক (ADVANCE) সংস্করণ ।[১]

প্রসেসরের কার্য পদ্ধতিসম্পাদনা

প্রসেসরের কার্য পদ্ধতি নিম্নে তথ্য ছকের মাধ্যমে দেখানো হলো :


চিত্র : প্রসেসরের কার্য পদ্ধতি


প্রসেসর এর কাজ হচ্ছে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম এবং কম্পিউটারের HARDWARE এর মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া । প্রসেসর মূলত ব্যবহারকারীর ইনপুটকে প্রক্রিয়াকরণ করে আউটপুট প্রদান করে । যেমন : গান শোনা , গ্যামস খেলা , মুভি দেখা ইত্যাদি । কম্পিউটারের সকল কাজ কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ তথা প্রসেসরই করে থাকে ।

প্রসেসরের প্রকারভেদসম্পাদনা

কাজের উপর ভিত্তি করে প্রসেসরকে চার ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :

  • মাইক্রো প্রসেসর
  • মাইক্রো কন্ট্রোলার
  • এমবেডেড প্রসেসর
  • ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসর


তবে আমাদের কম্পিউটার (মাইক্রো কম্পিউটার কিংবা মোবাইল কম্পিউটার) গুলোতে যেহেতু মাইক্রো প্রসেসর ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

মাইক্রো প্রসেসরসম্পাদনা

মাইক্রো শব্দের অর্থ ছোট । শুরুতে যেসব ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কৃত হয় তা রাখার জন্য প্রয়োজন হতো বিশাল , হল রুমের । তার প্রধান কারণ ছিল কম্পিউটারের বিশাল যন্ত্রাংশ । বিশাল এই কম্পিউটারকে ছোট করার প্রচেষ্টার ভিত্তিতেই মাইক্রো প্রসেসর উদ্ভাবনের সূচনা হয় ।

1971 খ্রিষ্টাব্দে INTEL CORPORATION সর্বপ্রথম মাইক্রো প্রসেসর উদ্ভাবন করে । মাইক্রো প্রসেসর মূলত অসংখ্য INTEGRATED CIRCUIT বা IC এর সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার HARDWARE .

প্রসেসরের গঠনসম্পাদনা

মাইক্রো প্রসেসর বিভিন্ন অংশের সমন্বয়ে গঠিত । যথা :

  • CONTROL UNIT
  • CACHE MEMORY
  • ARITHMETIC LOGIC UNIT
  • REGISTER
  • BUSES
  • CLOCK

ক্লক স্পীডসম্পাদনা

একটি প্রসেসর কতটা দ্রুত কাজ করবে তা নির্ভর করে প্রসেসরের CLOCK SPEED এর উপর । একটি প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে কতটি কাজ সম্পন্ন করতে পারে তাই হচ্ছে তার CLOCK SPEED . সাধারণত দুইভাবে CLOCK SPEED মাপা হয় । যথা :

( i ) MHz বা 1 MILLION CYCLES PER SECOND
( ii ) GHz বা 1 THOUSAND MILLION CYCLES PER SECOND

প্রসেসরের কোরসম্পাদনা

একটি প্রসেসর কতটা কার্য ক্ষমতাসম্পন্ন তা নির্ভর করে প্রসেসরের কোরের উপর ।

উদাহরণ স্বরূপ : মনে করুন আপনি একটি দুতলা বাড়ি করবেন । এক্ষেত্রে একজন কর্মীকে দিয়ে বাড়িটি তৈরি করতে অনেক সময় ব্যয় হবে এবং সে কাজটি সম্পন্ন নাও করতে পারে । কিন্তু সেখানে যদি 30 জন কর্মী একত্রে কাজ করে তাহলে খুব দ্রুত এবং নিপুণ ভাবে কাজটি সম্পন্ন হবে ।

এখানে প্রসেসরের কোর এক বা একাধিক মানুষেরই ভূমিকা পালন করে । তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রসেসরে যত বেশি কোর থাকবে কম্পিউটার ডিভাইসটি ঠিক তত বেশি কার্যক্ষমতা সম্পন্ন ।

কার্যক্ষমতা এবং কোরের উপর ভিত্তি করে মাইক্রো প্রসেসরকে ছয় ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :

SINGLE CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে মাত্র একটি কোর সংযুক্ত থাকে । যার ফলে মাল্টি টাস্কিং সুবিধাজনক নয় । বর্তমান সময়ে এই প্রসেসর সংযুক্ত কম্পিউটার ডিভাইস খুঁজে পাওয়া বিরল ।

DUAL CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে দুটি কোর সংযুক্ত থাকে । অর্থাৎ , এই ধরনের প্রসেসরে দুটি প্রসেসিং ইউনিট থাকে । যার ফলে এটি SINGLE CORE PROCESSOR এর থেকে অনেক দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে পারে । তবে আজকাল এই ধরনের প্রসেসরও খুব কম ব্যবহৃত হয় ।

QUAD CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে চারটি কোর সংযুক্ত থাকে । এটি DUAL CORE PROCESSOR এর থেকে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ।

HEXA CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে ছয়টি কোর সংযুক্ত থাকে ।

OCTA CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে আটটি কোর সংযুক্ত থাকে । এটি MULTIPROCESSOR ARCHITECTURE এর সাহায্যে ডিজাইন করা হয়েছে । এটি খুব উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর । সাধারণত আজকালকার স্মার্টফোন এবং অন্যান্য কম্পিউটার ডিভাইস গুলোতে OCTA CORE PROCESSOR ব্যবহার করা হয় ।

DECA CORE PROCESSOR : এই ধরনের প্রসেসরে দশটি কোর সংযুক্ত থাকে । এটিই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেসর ।

জেনারেশনসম্পাদনা

আমরা জানি প্রসেসর অসংখ্য IC বা INTEGRATED CIRCUIT এর সমন্বয়ে তৈরি । আবার এই IC গুলো TRANSISTOR , RESISTOR , DIODE এবং CAPACITOR এর সমন্বয়ে তৈরি । একটি প্রসেসরে কয়েক কোটি TRANSISTOR ব্যবহার করা হয় ।

প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলো প্রতি দুই বছর অন্তর নতুন TRANSISTOR উদ্ভাবন করে ফেলে যা আগের তুলনায় অনেক বেশি ছোট এবং অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন । নতুন এই TRANSISTOR দিয়ে প্রসেসর তৈরি করে বাজারজাতকরণ করা হয় প্রসেসরের জেনারেশন হিসেবে ।

নতুন জেনারেশনের প্রসেসর গুলো আগের তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং কম্পিউটার ব্যবহারের সময় গরম কম হয় । এজন্য কম্পিউটার ডিভাইস ক্রয়ের সময় নতুন জেনারেশনের প্রসেসর নেওয়াটাই শ্রেয় ।

FSBসম্পাদনা

FSB এর পূর্ণ রূপ ফ্রন্ট সাইড বাস । প্রসেসর RAM এর সাথে কতটা দ্রুত ডেইটা ট্রান্সফার (আদান - প্রদান) করছে সেটাই হচ্ছে প্রসেসরের FSB . তবে বর্তমান সময়ের প্রসেসর গুলোতে FSB এর পরিবর্তে QPI ব্যবহার করা হয় । যা FSB এর থেকে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ।

ক্যাশ মেমোরিসম্পাদনা

প্রসেসরের কার্য সম্পাদনের জন্য দুই ধরনের স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহৃত হয় । এই স্টোরেজ ডিভাইস গুলো প্রসেসরের সাথেই সংযুক্ত থাকে । যার মধ্যে ক্যাশ অন্যতম । এটি অত্যন্ত দ্রুতগতি স্টোরেজ ডিভাইস এবং ব্যয়বহুল ।

ক্যাশ মেমোরির আকার যত বেশি হবে প্রসেসর তত দ্রুত গতিতে কাজ করবে । সাধারণত আজকালকার কম্পিউটার গুলোতে 2 , 4 , 6 এবং সর্বোচ্চ 8 MEGA BYTE এর ক্যাশ মেমোরি ব্যবহার করা হয় ।

প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানসম্পাদনা

জনপ্রিয় প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :

  • INTEL
  • AMD
  • QUALCOMM
  • MEDIATEK
  • SAMSUNG
  • IBM
  • HUAWEI
  • NVIDIA


প্রভৃতি । তবে ডেস্কটপ , ল্যাপটপের ক্ষেত্রে INTEL অথবা AMD এবং স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে QUALCOMM বা MEDIATEK অধিক ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা


WIKIYRI 1ST ANNIVERSARY IS COMING SOON !!!