জরুরী বিজ্ঞপ্তি :
ডিসপ্লে (DISPLAY) বা মনিটর (MONITOR) হলো কম্পিউটারের এক প্রকার হার্ডওয়্যার যা কম্পিউটারের কাজের ফলাফল গুলোকে আমাদের সামনে প্রদর্শন করে আমাদেরকে দেখতে সহায়তা করে । এটি দৃষ্টি প্রদর্শক সহায়ক একটি আউটপুট ডিভাইস ।[১]
ডিসপ্লে বা মনিটরের কার্যপদ্ধতিসম্পাদনা
কম্পিউটারে থাকা প্রসেসর ব্যবহারকারীর থেকে ইনপুট গ্রহণ করে । অতঃপর , প্রসেসর সেই ইনপুটকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ডিসপ্লে বা মনিটরের মাধ্যমে আউটপুট প্রদান করে । ডিসপ্লে বা মনিটর ছাড়া কম্পিউটিং সম্ভব নয় । কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে ডিসপ্লে বা মনিটরের ভূমিকা অপরিসীম ।
ডিসপ্লে বা মনিটরের প্রকারভেদসম্পাদনা
TFT LCD DISPLAY OR THIN FILM TRANSISTOR TECHNOLOGY LCD : এটি অনেক পুরনো একটি ডিসপ্লে প্রযুক্তি । সাধারণত স্বল্প মূল্যের ফোনগুলোতে এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয় । এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে গুলোর কালার ফ্যাকাশে এবং তীর্যকভাবে কালো রঙ ছাড়া কিছুই প্রদর্শিত করতে পারে না । সূর্যের আলোতে এই ডিসপ্লেতে পরিষ্কার দেখতে অসুবিধা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক বেশি । তবে উৎপাদন খরচ কম এবং তুলনামূলক সস্তা ।
IPS LCD DISPLAY OR IN - PLANE SWITCHING LCD : এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে গুলোর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি । এটি অনেক কালারফুল ডিসপ্লে প্রযুক্তি । এটি TFT LCD এর তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং দামী ।
SLCD DISPLAY OR SUPER LCD : এটি LCD DISPLAY এর সর্বাধুনিক ডিসপ্লে প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তির DISPLAY গুলোতে সূর্যের আলোতে দেখতে অসুবিধা হয় না এবং অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী । এটি AMOLED DISPLAY গুলোর তুলনায় অনেক বেশি কালারফুল এবং প্রাণবন্ত ।
OLED DISPLAY OR ORGANIC LED : এটি TFT এবং IPS প্রযুক্তির ডিসপ্লে গুলোর তুলনায় অনেক উজ্জ্বল । এবং এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে গুলোতে তীর্যকভাবে দেখতে কোন প্রকার অসুবিধা হয় না ।
AMOLED DISPLAY OR ACTIVE MATRIX OLED : এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে গুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে অত্যাধিক LED এর ব্যবহার যা সয়ংক্রিয়ভাবে চালু এবং বন্ধ হতে পারে । যার ফলে কালার গুলো প্রাণবন্ত রুপ ধারণ করে । এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে গুলোতে সূর্যের আলোতে দেখতে কোন প্রকার অসুবিধা হয় না ।
S AMOLED DISPLAY OR SUPER AMOLED : এটি AMOLED DISPLAY প্রযুক্তির উন্নত একটি সংস্করণ । সাধারণত অধিক মূল্যের স্মার্টফোন গুলোতে এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয় ।
S AMOLED + DISPLAY : এটি SUPER AMOLED DISPLAY প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণ ।
DYNAMIC AMOLED DISPLAY : এটি LED ডিসপ্লে এর সর্বাধুনিক ডিসপ্লে প্রযুক্তি । এর উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এই প্রযুক্তির ডিসপ্লে এর খুবই ব্যবহারের কম ।
LCD এবং LED ডিসপ্লে'র বৈশিষ্ট্যসম্পাদনা
- LCD এর পূর্ণরুপ LIQUID CRYSTAL DISPLAY .
- LCD DISPLAY পরিবেশ বান্ধব নয় ।
- LCD DISPLAY চোখের জন্য ক্ষতিকারক । দীর্ঘসময় কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে ।
- LCD DISPLAY অনেক কালারফুল । দেখতে LED এর তুলনায় অনেক আকর্ষণীয় । তবে তির্যকভাবে এই DISPLAY এর কালার কিছুটা ঘোলাটে ।
- LCD DISPLAY কালো রঙ PERFECTLY প্রদর্শন করতে পারে না ।
- LCD DISPLAY তুলনামূলক সস্তা এবং সাধ্যের ভিতরে । তবে LED এর তুলনায় খুব বেশি দামী নয় ।
- LCD DISPLAY এর স্থায়ীত্বকাল প্রায় 16 বছর ( 10 HOUR / DAY ) .
- সকল প্রকার LED DISPLAY গুলোই LCD DISPLAY .
- LED এর পূর্ণরুপ LIGHT EMITTING DIODE .
- LED DISPLAY পরিবেশ বান্ধব ।
- LCD DISPLAY এর তুলনায় কম ক্ষতিকারক এবং দীর্ঘসময় স্বাচ্ছন্দের সাথে ব্যবহার করা যায় ।
- LCD DISPLAY এর রঙগুলো কিছুটা ঘোলাটে । তবে তীর্যকভাবে কালারের কোন পরিবর্তন লক্ষণীয় নয় ।
- LED DISPLAY সাদা রঙ PERFECTLY প্রদর্শন করতে পারে না ।
- LCD DISPLAY এর তুলনায় কিছুটা দামী ।
- LED DISPLAY এর স্থায়ীত্বকাল প্রায় 27 বছর ( 10 HOUR / DAY ) .
- সকল প্রকার LED DISPLAY গুলোই LCD DISPLAY .